আক্ষেপ প্রকাশ করে, কেননা এই উন্নয়নে তার কোনো উপকার হবে না। আলোচ্য রচনায় বিড়ালও আফসারের মতো অসহায় ক্ষুধার্ত অবস্থায় দিন কাটায়। একসময় দুধ চুরি করে খাওয়ার পর কমলাকান্ত চুরির ক্ষতিকর দিকগুলো তুলে ধরে বিড়ালের কাছে। বিড়াল বলে, সমাজে ধনীর ধনবৃদ্ধি হলেও গরিবের অবস্থার কোনো পরিবর্তন হবে না এবং তাতে দরিদ্ররা আরো বেশি নিগ্রহের শিকার হবে। সমাজ বাস্তবতার চিত্র উপস্থাপনে আলোচ্য রচনার বিড়াল এবং উদ্দীপকের আফসারের মধ্যে সাদৃশ্য রয়েছে।
ঘ ‘বিড়াল’ প্রবন্ধে বিড়ালের সোশিয়ালিস্টিক মনোভাবের মধ্যে দিয়ে সমাজ বাস্তবতার চিত্র প্রকাশিত হয়েছে। ‘বিড়াল’ রচনায় সমাজে ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য সম্পর্কে বিস্তৃত বিষয় বর্ণিত হয়েছে। বিড়ালের মতে, ধনীরা সম্পদের পাহাড় গড়ে তুললেও দরিদ্রের দিকে মুখ তুলে তাকায় না। ফলে দরিদ্ররা হতদরিদ্রে পরিণত হচ্ছে এবং বাধ্য হচ্ছে চুরি করতে।
বস্তুত বিড়ালের কন্ঠে পৃথিবীতে শোষিত, বঞ্চিত, নিষ্পেষিত, দলিতের ক্ষোভ, প্রতিবাদ ও মর্মবেদনা বর্ণিত হয়েছে।
উদ্দীপকে আফসার দরিদ্রতার সাথে জীবনযাপন করে, দুর্ঘটনায় কবলিত হয়ে তার পা দুটো হারানোর পর তাকে একা রেখে পরিবারের অন্য সদস্যরা চলে যায়। তার বাড়ির পাশে বহুতল ভবন নির্মাণ দেখে সে ক্ষোভ প্রকাশ করে । কেননা এতে তার অবস্থার কোনো পরিবর্তন হবে না।
আলোচ্য রচনা এবং উদ্দীপকে সমাজের অবহেলিত শোষিত মানুষের মনোবেদনা প্রকাশিত হয়েছে। সমাজে ধন-সম্পদের প্রাচুর্য থাকা সত্ত্বেও তা যদি অল্প কিছু মানুষের মধ্যে কুক্ষিগত থাকে, তাহলে সে সম্পদ দিয়ে দরিদ্রের কোনো লাভ হয় না। ধনীরা প্রতিনিয়ত ধন সঞ্চয় করে সমাজের উন্নতি বিধান করে। অন্যদিকে দরিদ্ররা অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটায়। সে কারণে সমাজের উন্নতি তথা ধনীর ধনবৃদ্ধি হলেও দরিদ্ররা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিতই থাকে। তাই এমন উন্নতি তাদের কোনো কাজে আসে না। সুতরাং সমাজের উন্নতি যদি ধনীদের ধনবৃদ্ধির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে তাহলে তা
অনর্থক। এ প্রেক্ষিতে আলোচ্য উক্তিটি যুক্তিযুক্ত। প্রশ্ন ১৬ এ জগতে হায়, সেই বেশি চায় আছে যা রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙালের ধ ফিরপুরহাট সরকারি মহিলা কলেজ। প্রশ্ন নম্বর-১/
ক. কমলাকান্ত মার্জারীকে মারতে গিয়ে অনেক অনুসন্ধানে কী পেল?
খ. চোর অপেক্ষা ধনী শতগুণ দোষী কেন? ব্যাখ্যা করো। গ. উদ্দীপকটি ‘বিড়াল’ রচনার সাথে কীভাবে বৈসাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকের মূলভাব ‘বিড়াল’ রচনায় বর্ণিত চুরির পক্ষের যুক্তির বিপরীত।’ মন্তব্যটি মূল্যায়ন করো। 8
১৬ নম্বর প্রশ্নের উত্তর
কমলাকান্ত মার্জারীকে মারতে গিয়ে অনেক অনুসন্ধানে একটি ভগ্ন ষষ্টি পেল ।
না সৃজনশীল প্রশ্নের ১
(খ) নম্বর উত্তর দ্রষ্টব্য। গা বিষয়বস্তুর দিক দিয়ে উদ্দীপকটি ‘বিড়াল’ রচনার সাথে বৈসাদৃশ্যপূর্ণ। “বিড়াল’ রচনায় একটি বিড়ালের ভাষ্যে লেখক বলতে চেয়েছেন ধনীর দোষেই দরিদ্ররা চোর হয়। দরিদ্র বঞ্চিত হয়ে জীবনধারণের প্রয়োজন মেটাতে পারে না বলেই চুরি করে। যদি ধনী ব্যক্তি কার্পণ্য না করে
উদ্দীপকের কবিতাংশে বলা হয়েছে এই জগতে যার যত বেশি আছে, সেই তত চায় । রাজা কাঙালের ধন চুরি করে। কাঙালের কিছুই নেই অথচ রাজার থাকা সত্ত্বেও কাঙালের ধন চুরি করে। অর্থাৎ উদ্দীপকে বলা হয়েছে যার বেশি আছে সেই লোভের দরুন চুরি করছে। কিন্তু আলোচ্য রচনায় বিপরীত দৃষ্টিকোণ থেকে বলা হয়েছে যার নেই সে অভাবের দরুন চুরি করতে বাধ্য হচ্ছে। অর্থাৎ চুরির কার্যকারণ ব্যাখ্যা করে চোরের পরিচয় বর্ণনায় উদ্দীপকটি আলোচ্য রচনার সাথে বৈসাদৃশ্যপূর্ণ।
ঘ ‘বিড়াল’ রচনায় বিড়াল চুরির পক্ষে আত্মরক্ষামূলক যুক্তি দিয়েছিল, যার বিপরীত বক্তব্য উদ্দীপকের মূলভাবে ব্যস্ত হয়েছে।
“বিড়াল’ রচনায় বিড়ালটি কমলাকান্ডের জন্য রাখা দুধ চুরি করে খেয়ে ফেলে। এরপর কমলাকান্তের সাথে নিজের কৃতকর্ম নিয়ে যুক্তিবাদী আলোচনায় দেখা যায় সুতার্কিক বিড়ালটিকে। বিড়ালটি পৃথিবীর সকল বঞ্চিত, নিষ্পেষিত ও দলিতদের মর্মবেদনা উপলব্ধি করে তাদের চোর হওয়ার কার্যকারণ ব্যাখ্যা করে।
উদ্দীপকের কবিতাংশে বলা হয়েছে প্রচুর থাকা সত্ত্বেও লোভের বশবর্তী হয়ে ধনীরা চুরি করে। বঞ্চিতদের বঞ্চিত করে নিজেদের সম্পদ বাড়াতেই ধনীরা চুরি করে। কিন্তু আলোচ্য রচনা বলছে ধনীরা বঞ্চিতদের আরো বঞ্চিত করছে বলেই বঞ্চিতরা চোর হচ্ছে। বঞ্চিতরা ন্যায্য প্রাপ্য পেলে চুরি করত
আলোচ্য রচনায় বিড়ালটি কমলাকান্তকে বলছে লোকজন নিজেদের উচ্ছিষ্ট | খাবার বিড়ালকে দিলেই বিড়ালের ক্ষিধে দূর হয়। লোকজন উচ্ছিষ্ট খাবার নর্দমায় ফেলে দেয়, কিন্তু বিড়ালকে দেয় না। তাই বিড়াল চুরি করতে বাধ্য হচ্ছে। একইভাবে সমাজের বঞ্চিতরা নিজেদের ন্যায্য প্রাপ্য পায় না বলেই চুরি করতে বাধ্য হয়।
অর্থাৎ ধনীদের জন্য দরিদ্ররা চোর হচ্ছে কিন্তু উদ্দীপক বলছে দরিদ্রকে ঠকিয়ে তার সম্পদ চুরি করে ধনীরা আরো ধনী হতে চায়। তাই ধনীরা মূলত চোর। উদ্দীপক ও আলোচ্য রচনায় বিশ্লেষণ করলে পাই, উদ্দীপকের মূলভাব ‘বিড়াল’ রচনায় বর্ণিত চুরির পক্ষের যুক্তির বিপরীত — মন্তব্যটি অকাট্য সত্য ।
প্রশ্ন ১৭ মসজিদে কাল শিরনি আছিল অঢেল গোস্তরুটি বাঁচিয়া গিয়াছে, মোল্লা সাহেব হেসে তাই কুটি কুটি। এমন সময় এলো মুসাফির, গায়ে আজারির চিন্ বলে, ‘বাবা, আমি ভুখা ফাঁকা আছি আজ নিয়ে সাত দিন।’ তেরিয়া হইয়া হাঁকিল মোল্লা, ভ্যালা হলো দেখি লেঠা ভুখা আছ মর গো-ভাগাড়ে গিয়ে। নামাজ পড়িস বেটা? ভুখারি কহিল ‘না, বাবা!’ মোল্লা হাঁকিল-তা হলে শালা, সোজা পথ দেখ!’ গোস্ত-রুটি নিয়া মসজিদে দিল তালা ।
বি এ এফ শাহীন কলেজ, চট্টগ্রাম। প্রশ্ন নম্বর-১/
ক. বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক উপন্যাস কোনটি?
খ. ‘খাইতে দাও নহিলে চুরি করিব বিড়ালের এমন মন্তব্যের কারণ কী?
গ. উদ্দীপকের মুসাফিরের সঙ্গে ‘বিড়াল’ রচনার কোন চরিত্রের সাদৃশ্য রয়েছে? বিচার করো।
ঘ. উদ্দীপকটি ‘বিড়াল’ রচনার মূলভাবকে কতটুকু ধারণ করে? তোমার মতামত জানাও। 8